A political Blog about how and why a reign of terror in West Bengal is unleashed planfully by imperialists, multinational company financed and supported Rainbow Alliance of Maoists, Naxalites,TMC, Congress, SUCI, perverted anti-Communist and anti-Leftist so-called sold-out intellectuals, corporate media and NGOs of doubtful character.
Friday, July 3, 2015
SURANJAN DAS, VICE CHANCELLOR, KOLKATA UNIVERSITY - ‘অনভিপ্রেত’ বললেও দোষীদের চিহ্নিত করলেন না উপাচার্য *****************************************************নিজস্ব প্রতিনিধি কলকাতা, ২রা জুলাই— শিক্ষক নিগ্রহের ২৪ঘণ্টা পরে শিক্ষামন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনা সেরে এসে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য মুখ খুললেন বটে, তবে ধন্দ তাতে কাটলো না, বরং বেড়ে গেলো। উপাচার্য সুরঞ্জন দাস বৃহস্পতিবার শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চ্যাটার্জির সঙ্গে বিকাশ ভবনে সাক্ষাৎ সেরে বেরিয়ে এসে সাংবাদিকদের বলেছেন, ‘খুবই দুর্ভাগ্যজনক, অনভিপ্রেত ঘটনা ঘটেছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের ঐতিহ্যে ছেদ বলা যেতে পারে।’ একই সঙ্গে অনভিপ্রেত ঘটনাটি যারা ঘটিয়েছে, যাদের হাতে তিনি নিজে নিগৃহীত হয়েছেন, সেই আক্রমণকারী তৃণমূলীদের আড়াল করতে তিনি বলেছেন, ‘দুটি বিবদমান গোষ্ঠীকে আটকাতে গিয়ে তাদের মাঝে আমি পড়ে গিয়েছিলাম। আমি বিশ্বাস করি না আমাকে কেউ মারতে গিয়েছিলো।’ উপাচার্য আরো জানিয়েছেন, ‘শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চ্যাটার্জিকে সব ঘটনার কথা বলেছি। শিক্ষামন্ত্রী সব শুনে উদ্বিগ্ন।’ বুধবার কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের দ্বারভাঙা হলে আন্দোলনরত শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মীদের মারধর ও ঘিরে ধরে অশালীন আচরণ করে তৃণমূল ছাত্র পরিষদের কর্মী ও বহিরাগত দুষ্কৃতীদল। উপাচার্যের চোখের সামনে সেই ঘটনার পরেও সেদিন মুখ খুলতে চাননি উপাচার্য। ৪৫মিনিট ধরে তাঁর সামনে বহিরাগতরা দাপিয়েছে, তাঁকেও নিগৃহীত হতে হয়েছে। তবু তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিতর থেকে তাণ্ডবকারীদের বের করে দেওয়ার জন্য নিরাপত্তাকর্মীদের কোনো নির্দেশ দেননি। পুলিশের কাছে কোনো অভিযোগও দায়ের করেননি। পরে সাংবাদিকদের কেবল বলেছিলেন, ‘উত্তেজনা তৈরি হয়েছিলো, তার পরে সব মিটে গেছে। এর বেশি আমি কিছু বলতে পারবো না।’ আর শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চ্যাটার্জি তৃণমূল ভবনে বসে সাংবাদিক বৈঠক করে বলেছিলেন, ‘তৃণমূলের বদনাম করার জন্য মিডিয়াতে অপপ্রচার হচ্ছে। আমি শুনেছি ওখানে ছাত্ররা মারধর করেনি, তাদেরকেই মারধর করা হয়েছে।’ তৃণমূল ছাত্র পরিষদের সভাপতি অশোক রুদ্রের ভাষাতেই কথা বলেছিলেন শিক্ষামন্ত্রী। স্কটিশ চার্চ কলেজে বসে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের হামলার পুরো পরিকল্পনা কার্যকর করছিলেন অশোক রুদ্র। কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ে তাঁর বিশ্বস্ত কর্মী সৌরভ অধিকারীর নেতৃত্বে তৃণমূলের কর্মীরা মারধর সাঙ্গ করার পরে অশোক রুদ্র সাংবাদিকদের বলেছিলেন, ‘শিক্ষকরাই হুলিগানিজম্ করেছে।’ আর শিক্ষামন্ত্রী তার কথারই প্রতধ্বনি করেন। কিন্তু ২৪ঘণ্টা পরে উপাচার্য সাংবাদিকদের যা বললেন তাতে সরকার ও বিশ্ববিদ্যালয়ের সদিচ্ছা নিয়ে সন্দেহ আরো বাড়লো। বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিতরে শিক্ষক নিগ্রহকে ‘খুবই দুর্ভাগ্যজনক ঘটনা’ বলে চিহ্নিত করার পাশাপাশি উপাচার্য যা বললেন, তাতে নিজের বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মীদেরই তিনি ‘বিবদমানদের’ দলে ফেলে দিলেন এবং হামলাকারী বহিরাগতদের সঙ্গে সমগোত্রীয় করে দিলেন। আগের দিন টেলিভিশনে যা দেখানো হয়েছে সত্য নয় বলে পার্থ চ্যাটার্জি মন্তব্য করেছিলেন। এদিন উপাচার্য বলেছেন, ‘কী ঘটেছে তা টিভিতে সবাই দেখেছেন। ঘটনা খুবই দুর্ভাগ্যজনক, অনভিপ্রেত। এমন ঘটা উচিত হয়নি। আগামী দিনে যাতে না ঘটে তা দেখবো।’ কিন্তু টেলিভিশনের ক্যামেরায় কোথাও শিক্ষকদের সঙ্গে ছাত্রদের বিবাদ বা সংঘর্ষ দেখা যায়নি। একতরফাভাবে বহিরাগতদের দাপিয়ে বেড়াতে দেখা গিয়েছে। স্বাভাবিকভাবেই শিক্ষামহল বিস্মিত। উপাচার্যের মাধ্যমে শিক্ষামন্ত্রীর উদ্বেগের কথা শুনলেও এরপরে তাতে ভরসা রাখার কোনো কারণ তাঁরা দেখতে পাচ্ছেন না। কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্দোলনকারী শিক্ষকরা তাই জানিয়েছেন, বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ এবং সরকার সত্যি সত্যি উদ্বিগ্ন হলে হামলাকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করুক। আন্দোলনকারী শিক্ষকদের ন্যায়সম্মত দাবিগুলি মেনে নিক। তাঁদের আরো বক্তব্য, বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিতরে এতবড় ঘটনার পরে উপাচার্য হিসাবে সুরঞ্জন দাসের উচিত ছিলো আচার্য তথা রাজ্যপালের কাছে গিয়ে ঘটনা সম্পর্কে তাঁকে রিপোর্ট করা। তাঁর বদলে শিক্ষামন্ত্রীর কাছে গিয়ে ‘বয়ান স্থির করার’ পথ নিলেন কেন উপাচার্য? ২০১৩ সালে প্রেসিডেন্সি কলেজে তৃণমূলের দুষ্কৃতীবাহিনী হামলা করার পরে প্রেসিডেন্সি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ও রেজিস্ট্রারসহ কর্তৃপক্ষ কঠোর মনোভাব নিয়েছিলো। ঘটনার পরেই তাঁরা আক্রমণকারীদের বিরুদ্ধে সোচ্চার হয়েছিলেন, রাজ্যপালের কাছে গিয়ে অভিযোগ জানিয়েছিলেন এবং থানায় অভিযোগও দায়ের করা হয়েছিলো দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে। তার ফলে প্রেসিডেন্সি বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্তৃপক্ষের সঙ্গে সংঘাতেও জড়িয়েছিলো তৃণমূল সরকার। কিন্তু কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ সেই পথে হাঁটেননি। উপাচার্য সুরঞ্জন দাসের কিছুদিনের মধ্যেই যাদবপুরে উপাচার্য হিসাবে নিযুক্ত হওয়ার কথা। এদিন বিকাশ ভবনে শিক্ষামন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ সেরে এসে সুরঞ্জন দাস সাংবাদিকদের বলেন, সংবাদমাধ্যমে দেখানো হয়েছে কালকের ঘটনার পরেও আমি মৌনতা পালন করেছি। এতে আমি আহত, আমার অত্যন্ত খারাপ লেগেছে। কিন্তু আমি মনে করেছিলাম, শিক্ষামন্ত্রীর সঙ্গে কথা না বলে আমার প্রকাশ্যে কিছু বলা উচিত নয়, আমি তাই কিছু বলিনি। শিক্ষামন্ত্রীর শীলমোহর নিয়ে তবে আজকে তিনি মুখ খুললেন? উপাচার্যের বক্তব্য, আমি শিক্ষামন্ত্রীকে গোটা ঘটনাই জানিয়েছি। তিনিও উদ্বেগ জানিয়েছেন। তিনি বলেছেন যে শুক্রবার দুপুর একটায় তিনি নিজে আন্দোলনকারী শিক্ষকদের যৌথ মঞ্চের সঙ্গে কথা বলতে চান। আন্দোলনকারী শিক্ষকদের পক্ষে অধ্যাপক শ্যামল চক্রবর্তী একথা শুনে বলেছেন, গতকাল উপাচার্যের প্রতিক্রিয়ায় আমরা বিস্মিত হয়েছিলাম। আজ তিনি যদি সত্যিই উদ্বিগ্ন হয়ে থাকেন, যদি সত্যিই দেরিতে হলেও শিক্ষামন্ত্রী উদ্বিগ্ন হয়ে থাকেন, তাহলে আমরাও দেরিতে হলেও খুশি হবো। কিন্তু বুধবারের ঘটনাকে দুই গোষ্ঠীর বিবাদ হিসাবে দেখালে সেটা খুবই দুর্ভাগ্যজনক। কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সম্পাদক ও যৌথমঞ্চের অন্যতম আহবায়ক দিব্যেন্দু পালও বলেছেন, শিক্ষামন্ত্রী যদি সত্যিই উদ্বিগ্ন হন এবং তার ফলে বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বাধিকার রক্ষা পায় তাহলে ভালো। বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বাধিকার রক্ষার কথা বলে আমরা তো কোনো অন্যায় দাবি করিনি, তাহলে সরকার সেটা মেনে নিক। যৌথমঞ্চের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, এদিন রাত পর্যন্ত শিক্ষামন্ত্রীর কাছ থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে আলোচনার কোনো বার্তা তাঁদের কাছে আসেনি। তবে শিক্ষামন্ত্রী আলোচনা করতে চাইলে শিক্ষক ও কর্মীরা সবসময়েই আলোচনায় রাজি। - See more at: http://ganashakti.com/bengali/news_details.php?newsid=69589#sthash.cZHHR9AV.dpuf
Subscribe to:
Post Comments (Atom)
No comments:
Post a Comment