Narendra Modi Appoints Rajesh Jain and BG Mahesh To Drive His Social Media Campaign For 2014 Elections | Lighthouse Insights - Indian Social Media News
A political Blog about how and why a reign of terror in West Bengal is unleashed planfully by imperialists, multinational company financed and supported Rainbow Alliance of Maoists, Naxalites,TMC, Congress, SUCI, perverted anti-Communist and anti-Leftist so-called sold-out intellectuals, corporate media and NGOs of doubtful character.
Monday, May 19, 2014
Candidates can be disqualified if information on assets, liabilities not disclosed, says Supreme Court | Latest News & Updates at Daily News & Analysis
Thursday, May 15, 2014
পরিশেষে, একটি কথা উল্লেখ করতে চাই। বামপন্থীরা বরাবর মানুষের স্বার্থ নিয়ে পার্লামেন্টের ভিতরে ও বাইরে লড়াই করে আসছেন। সাম্রাজ্যবাদী শক্তি ও আমাদের দেশের কর্পোরেট পুঁজির মালিকরা চায় বামপন্থীদের শক্তি হ্রাস হোক। বামপন্থীদের শক্তি হ্রাসের উদ্দেশ্যে মার্কিন সাম্রাজ্যবাদী শক্তি অতীতে দুবার কংগ্রেসকে অর্থ দিয়েছিল — একবার ১৯৫৯ সালে দেশের প্রথম অকংগ্রেসী নাম্বুদিরিপাদ মন্ত্রিসভা পতনের জন্য আর একবার ১৯৭১ সালে পশ্চিমবঙ্গে বামপন্থীদের অগ্রগতি রোধ করার জন্য (সূত্র : পিটার ময়নিহানের ‘এ ডেঞ্জারাস প্লেস’)। এই নির্বাচনে প্রশাসনের সামনেই এই সীমাহীন সন্ত্রাস ও সাংবিধানিক সংস্থাগুলির নির্লিপ্ততা এই সন্দেহকেই কিন্তু উসকে দিচ্ছে।
Labels:
GENERAL ELECTION-2014
মহাশ্বেতা দেবীর কাছে আমার বিনীত প্রশ্ন, মমতা ব্যানার্জি সরকারের দুষ্কৃতীমূলক কাজকর্মের দায় না নিয়ে প্রচারকের ভূমিকা পালন করছেন কোন্ নৈতিক অধিকারে? তৃণমূলের ঠ্যাঙাড়ে বাহিনী আক্রমণ থেকে গর্ভবতী মহিলাসহ বৃদ্ধা কেউই বাদ যায়নি। ভোট দিতে যাবার অপরাধে মথুরাপুরে মহিলাকে বিবস্ত্র করে মার, বাম ছাত্রনেতাকে গরম তেলের কড়াইয়ে নিক্ষেপ, প্রতিবন্ধী মহিলাকে প্রহার, স্ত্রীর সামনে মাটিতে ফেলে স্বামীকে বেধড়ক মার — এরকম অসংখ্য ঘটনার সাক্ষী পশ্চিমবঙ্গের মানুষ। তৃণমূলের বিধায়ক থেকে পঞ্চায়েত সমিতির সদস্যা ছাপ্পা ভোট দিচ্ছে — এরকম অসংখ্য চিত্র দেখা গিয়েছে। লাখ লাখ মানুষ তৃণমূল ঠ্যাঙাড়ে বাহিনীর রক্তচক্ষু, আক্রমণ, সন্ত্রাসকে উপেক্ষাকরে প্রাণের মায়া তুচ্ছ করে ভোট দিতে এসেছেন।
Labels:
GENERAL ELECTION-2014
আর বুঝতে পারেননি বলেই এইসব আধিকারিকের ভুয়া প্রতিশ্রুতির উপর ভরসা করে এই ঘরছাড়া বামপন্থী সমর্থকেরা জীবনের ঝুঁকি নিয়ে তাঁদের সংবিধানপ্রদত্ত ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে গিয়ে নৃশংসভাবে আক্রান্ত হয়েছেন। মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়া সেই বীরদের পরিবারবর্গ ও সাথীরা যাঁরা সুস্থ ছিলেন, বিকেলের দিকে গ্রামে গিয়ে অনেক বুঝিয়েও তাঁদের বুথে পাঠাতে পারেননি বিশেষ নির্বাচনী পর্যবেক্ষক সুধীরকুমার রাকেশ। তাঁর অনুরোধ প্রত্যাখ্যান করে এই গরিব মানুষেরা জানিয়ে দিলেন যে, তাঁদের আত্মসম্মান এই সব নির্বাচনী আধিকারিকদের ভুয়া প্রতিশ্রুতির চেয়ে অনেক অনেক বেশি। এই লোকসভা কেন্দ্রের হাসনাবাদের জালালপুরের মানুষ ভোট বয়কট করায় তৃণমূলীরা গোরু পাচারকারীদের দিয়ে রিগিং করে। এতে ক্ষুব্ধ গ্রামবাসীরা এ ভি এম মেশিন ভেঙে দেয় (বর্তমান, ১৩/০৫)।
Labels:
GENERAL ELECTION-2014
প্রায় ১০ বছর ধরে তৃণমূল নেত্রী মমতা ব্যানার্জির মতো স্বৈরাচারী মনোভাবাপন্ন উচ্চাকাঙ্ক্ষী রাজনীতিবিদকে প্রতিষ্ঠা ও ক্ষমতায় আরোহনের জন্য সর্বতোভাবে সাহায্য ও সহযোগিতা করার মধ্য দিয়ে ইতিহাসে তিনি নিজেকে দক্ষিণপন্থী হিসাবে তাঁর স্থান নির্দিষ্ট করে দিয়েছেন। যেভাবে, মুসোলিনির অন্ধ সমর্থক ও ফ্যাসিস্ত দলের সদস্য ইতালির প্রখ্যাত নাট্যকার লুইগি পিরানদেলোর স্থান ইতিহাস নির্দিষ্ট করে দিয়েছে ফ্যাসিস্ত হিসাবে। ২০১১ সালের নভেম্বর মাসে পুলিসের সাহায্যে সাধারণ মানুষের সমবেত হওয়ার ও মত প্রকাশের অধিকারকে হরণ করার সময় এই মহাশ্বেতা দেবীই মমতাকে কার্যত ফ্যাসিস্ত মনোভাবাপন্ন বলে অভিহিত করেছিলেন। আজ আবার দেবতার সাথে তুলনা করা এবং রবীন্দ্র জয়ন্তীর মতো অনুষ্ঠান মঞ্চকে হীন নির্বাচনী সভায় রূপান্তরিত করে ইদ্রিশ আলির মতো তৃণমূল প্রার্থীকে ভোট দেওয়ার আহ্বান জানানো নিকৃষ্ট রুচির পরিচায়ক। এই আহ্বানের মাত্র ৬০ ঘণ্টার মধ্যেই ৫ম দফা নির্বাচনের দিন রাজ্যের সবচেয়ে ঘৃণ্য, পৈশাচিক ও দানবীয় ঘটনাটি ঘটেছে বসিরহাট লোকসভা কেন্দ্রের হাড়োয়ায় মহাশ্বেতা দেবী কথিত দেবতারূপী (?) মমতা ব্যানার্জির দলের নেতৃত্বে।
Labels:
GENERAL ELECTION-2014
৫ম দফা নির্বাচনে সবচেয়ে ভয়াবহ ও নৃশংস ঘটনাটি ঘটেছে বসিরহাট লোকসভা কেন্দ্রের অন্তর্গত হাড়োয়ায়। তার আগে একটি ঘটনা উল্লেখ করা বোধহয় অপ্রাসঙ্গিক হবে না। ৯ই মে বসিরহাটের একটি ক্লাবে রবীন্দ্রজয়ন্তীর অনুষ্ঠানে তৃণমূলপন্থী বিদ্বজ্জনদের প্রধানা মহাশ্বেতা দেবী বসিরহাট কেন্দ্রের তৃণমূল প্রার্থী ইদ্রিশ আলিকে পাশে বসিয়ে তাঁকে বিপুল ভোটে জয়ী করার আহ্বান জানানোর সাথে সাথে তৃণমূল নেত্রী মমতা ব্যানার্জিকে দেবতার সাথে তুলনা করে তাঁকে প্রধানমন্ত্রী হিসাবে দেখতে চাওয়ার মনোবাসনা ব্যক্ত করেন (সূত্র : আজকাল, ১১/০৫/২০১৪)। এই সেই ইদ্রিশ আলি, যাঁর মৌলবাদী কার্যকলাপে ২০০৭ সালের নভেম্বরে অবরুদ্ধ কলকাতার একাংশে সামরিক বাহিনী নামাতে হয়েছিল। ‘লায়লা আসমানের তারা’, ‘হাজার চুরাশীর মা’, ‘বায়েন’ ইত্যাদি কালজয়ী লেখার রচয়িতার এই করুণ অধঃপতনে বিস্ময়ের কিছু নেই।
Labels:
GENERAL ELECTION-2014
পঞ্চম দফা নির্বাচনের দু’দিন আগে থেকে রাজ্যের নির্বাচন আধিকারিকদের নাকের ডগায় কলকাতা শহর ও শহরতলীতে সন্ত্রাস ভয়াবহ আকার ধারণ করলেও কোন ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়নি। পুলিস প্রশাসনের নির্লজ্জ ভূমিকা উন্মুক্ত হয়ে পড়ে যখন কাশীপুর অঞ্চলে একজন অ্যাসিস্ট্যান্ট কমিশনারের আদেশকে একজন ও সি প্রকাশ্যে উল্লঙ্ঘন করেন। এইসব ঘটনায় নির্বাচন কমিশনের নির্লিপ্ত উদাসীন ভূমিকা তৃণমূলের এই ঠ্যাঙাড়ে বাহিনীকে সন্ত্রাস সৃষ্টিতে আরও বেপরোয়া করে তোলে। ফলে, এই ৫ম দফা নির্বাচন সংঘটিত হয় নজিরবিহীন সন্ত্রাসের মধ্যে।
Labels:
GENERAL ELECTION-2014
তৃণমূল ও প্রশাসনের ভূমিকার মধ্যে কোনো তফাৎ লক্ষ্য করা যায়নি। নির্বাচন কমিশনের নির্লিপ্ত ও নীরব ভূমিকা রহস্যজনক মনে হয়েছে। বিশেষ নির্বাচনী পর্যবেক্ষক সুধীরকুমার রাকেশ প্রথমে অনেক হম্বিতম্বি করে রিগিং নিবারণের ওষুধ জানার কথা প্রকাশ্যে বলেছিলেন। এই হম্বিতম্বি যে মানুষকে বিভ্রান্ত করার জন্য তা প্রমাণ হয়ে যায় ৩য় দফা নির্বাচনের আগে ৪৮ ঘণ্টা অন্তর্ধান এবং নির্বাচনের দিন ২টা পর্যন্ত আত্মগোপনে থেকে নির্বাচন শেষ হওয়ার তিন ঘণ্টা আগে অবাধ নির্বাচনের সার্টিফিকেট দেওয়ায়। রাজ্যের নির্বাচন আধিকারিকের নীরব ও উদাসীন ভূমিকাও তৃণমূলের সন্ত্রাসকে ব্যাপক করতে সাহায্য করেছে।
Labels:
GENERAL ELECTION-2014
এলাকায় এলাকায় ঠ্যাঙাড়ে বাহিনী দিয়ে বামপন্থী ও অন্যান্য বিরোধী প্রার্থীদের প্রচারে বাধা দেওয়া থেকে শুরু করে নির্বাচন প্রার্থীদের শারীরিকভাবে আক্রমণ করা ও বিরোধী প্রার্থীদের এজেন্টদের প্রাণনাশের হুমকি — কিছুই বাদ যায়নি। প্রথম দু’দফা নির্বাচন তুলনামূলক শান্তিপূর্ণভাবে অনুষ্ঠিত হলেও তৃতীয় ও চতুর্থ দফা নির্বাচন সমাপ্ত হয়েছে নজিরবিহীন সন্ত্রাসের মধ্যে। বুথ দখল, বিরোধী এজেন্টদের মারধর করে বুথে ঢুকতে না দিয়ে এবং বামপন্থী ভোটারদের ওপর বোমা, লাঠি, বন্দুক, ধারালো অস্ত্র নিয়ে আক্রমণ করে ছাপ্পা ভোটের মাধ্যমে নির্বাচনের রায় নিজেদের অনুকূলে আনার চেষ্টা করেছে তৃণমূলের ঠ্যাঙাড়ে বাহিনী।
Labels:
GENERAL ELECTION-2014
মৌলিক অধিকারের ওপর আক্রমণ, সীমাহীন সন্ত্রাস, শাসকদলের শীর্ষ নেতাদের সাথে সারদাসহ অন্যান্য দুর্নীতির সরাসরি যোগাযোগ, পঞ্চায়েত নির্বাচনে ব্যাপক রিগিং মমতা ব্যানার্জি সরকারের বিশ্বাসযোগ্যতা তলানিতে এসে ঠেকেছে। তৃণমূলের ঠ্যাঙাড়ে বাহিনী দিয়ে সন্ত্রাস সৃষ্টি করে বুথ দখলের মাধ্যমে ভোটারদের ভোটের অধিকার থেকে বঞ্চিত করে পঞ্চায়েত নির্বাচনের মতো ব্যাপক রিগিং-এর মাধ্যমে ষোড়শ লোকসভা নির্বাচনে এ রাজ্য থেকে সংখ্যাগরিষ্ঠ আসনে জয়ী হয়ে দিল্লির ক্ষমতার আসনে যাবার খোয়াব দেখছেন মমতা ব্যানার্জি।
Labels:
GENERAL ELECTION-2014
চিট ফান্ড সাফারার্স ইউনিটি ফোরামের পক্ষ থেকে এদিন বলা হয়েছে, সারদা তদন্তের স্বার্থে সি বি আই সাহায্য চাইলে, ফোরামের পক্ষ থেকে তদন্তে সাহায্য করা হবে। ইউনিটি ফোরামের পক্ষ থেকে আরও বলা হয়েছে, সি বি আই তদন্তের ওপর সুপ্রিম কোর্টকে নজরদারি রাখতে হবে। ফোরামের আহ্বায়ক অসীম চ্যাটার্জি বলেন, এই কেলেঙ্কারির সঙ্গে যুক্ত ব্যক্তিদের গ্রেপ্তার করে সারদার সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করতে হবে। প্রতারিত মানুষ যাতে তাঁদের অর্থ ফেরত পান সেদিকে উপযুক্ত নজর দিতে হবে। তিনি বলেন, গত এক বছর ধরে রাজ্য পুলিস সারদা কেলেঙ্কারির তদন্তের নামে প্রহসন করেছে। এই প্রহসনের সঙ্গে যারা যুক্ত রয়েছেন তাঁদের চিহ্নিত করতে হবে।
Labels:
SARADHA CHIT FUND
রদাকাণ্ডে প্রতারিত আমানতকারীরা বুধবার শহরে মিছিল করলেন। চিট ফান্ড সাফারার্স ইউনিটি ফোরামের উদ্যোগে আয়োজিত এই মিছিলে সারদা কেলেঙ্কারি মামলায় সুপ্রিম কোর্টের রায়কে স্বাগত জানানো হয়েছে। সুপ্রিম কোর্ট সারদা কেলেঙ্কারির তদন্তভার সি বি আই-র হাতে তুলে দেওয়ায় প্রতারিতরা জানিয়েছেন প্রাথমিকভাবে তাঁদের জয় হয়েছে। কারণ সারদাকাণ্ডে সি বি আই তদন্তের দাবি প্রতারিতরা করেছিলেন। সুপ্রিমকোর্ট তার বিচারে এই দাবির মান্যতা দিয়েছে। এদিন কলেজ স্কোয়ার থেকে এই মিছিল শুরু হয়। ধর্মতলার ওয়াই চ্যানেলে মিছিল এসে শেষ হয়। মিছিলে ছিলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা সূর্যকান্ত মিশ্র। এছাড়া ছিলেন, সুজন চক্রবর্তী, অসীম চ্যাটার্জি, আব্দুল মান্নান, মনোজ ভট্টাচার্য, জয়ন্ত রায়, সুনন্দ সান্যাল। এদিন প্রতারিতরা দাবি করেছেন, কেলেঙ্কারির সঙ্গে যুক্ত ব্যক্তিদের গ্রেপ্তার করে সারদার আমানত উদ্ধার করতে হবে। সারদার সমস্ত সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করে প্রতারিতদের গচ্ছিত অর্থ ফেরত দিতে হবে।
Labels:
SARADHA CHIT FUND
ইতোমধ্যে বাড়িয়ে দেওয়া হয়েছে দুধের দাম। কোল ইন্ডিয়া কয়লার দাম ১০ থেকে ১৫ শতাংশ বৃদ্ধির প্রস্তুতি শুরু করেছে। কয়লার দাম বৃদ্ধি মানে বিদ্যুতের দাম বৃদ্ধি। বিদ্যুতের ওপর নির্ভর পরিবহন, পবিষেবা, উৎপাদন ইত্যাদি সব ক্ষেত্রেই দাম বাড়বে। সব বোঝা এসে চাপবে মানুষের ঘাড়ে। ভোট শেষ হবার আগেই মুকেশ আম্বানির রিলায়েন্স সরকারকে নোটিস দিয়েছে প্রাকৃতিক গ্যাসের দাম বৃদ্ধি কার্যকর না করার জন্য। কে জি বেসিন থেকে রিলায়েন্সের তোলা প্রাকৃতিক গ্যাসের দাম আম্বানিদের আবদার মেনে কেন্দ্রীয় সরকার ইউনিট প্রতি ৪ মার্কিন ডলার থেকে ৮.৪ মার্কিন ডলার বাড়িয়ে দিয়েছে। গত ১লা এপ্রিল থেকে এই বর্ধিত দাম কার্যকর হবার কথা ছিল। কিন্তু নির্বাচনী বিধি চালু হবার ফলে নির্বাচন কমিশনের নির্দেশে বর্ধিত মূল্য লাগু করা স্থগিত রাখা হয়। তাই দ্রুত মূল্যবৃদ্ধির জন্য রিলায়েন্স ছটফট শুরু করে দিয়েছে। নীরব কংগ্রেস, নীরব বি জে পি। সরব হবে কি করে? নির্বাচনে দু’দলের তহবিলই ভরে উঠেছে রিলায়েন্সের টাকায়। এখন ট্যাঁ-ফোঁ করার উপায় নেই। নির্বাচনে দেওয়া টাকা সুদে আসলে তারা তুলবেই। অতএব দাম বাড়াতেই হবে। এই গ্যাস ব্যবহার হয় সার ও বিদ্যুৎ উৎপাদনে। ফলে বিপুল হারে বাড়বে সারের ও বিদ্যুতের দাম। কৃষকরা পথে বসবেন। তাদের পক্ষে চাষ করা কঠিন হয়ে পড়বে। সারের মূল্য বৃদ্ধিতে বাড়বে কৃষিপণ্যের দাম। অর্থাৎ সাধারণ মানুষের সমূহ বিপদ। এমনিতেই গত আড়াই বছর ধরে মুদ্রস্ফীতির হার অস্বাভাবিক বেশি। বাজারে একরকম আগুন। সর্বাধিক বাড়ছে খাদ্যসামগ্রী ও নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসের দাম। অথচ মানুষের রুজি রোজগার নেই। সাধারণ মানুষের এই দুঃসময়ে তাদের পাশে থাকতে হবে বামপন্থীদেরই।
Labels:
GENERAL ELECTION-2014
ভারতের সমগ্র পরিবহন ব্যবস্থা কার্যত দাঁড়িয়ে আছে ডিজেলের ওপর। ডিজেলের দাম বাড়া মানে সর্বস্তরে ভাড়া ও মাসুল বৃদ্ধি। তাতে প্রতিটি জিনিসের দাম আরও কিছুটা বেড়ে যাবে। নির্বাচন চলার ফলে মাঝে আড়াই মাস পেট্রোপণ্যের দাম বাড়ানো হয়নি। মানুষের ক্ষোভ বাড়ার ভয়ে। ভোট শেষ হতেই স্বমূর্তি ধারণ করে সরকার জনগণের ঘাড়ে নিশ্চিন্তে মূল্যবৃদ্ধির বোঝা চাপিয়ে দিয়েছে। বামপন্থীরা ছাড়া কোন রাজনৈতিক দলেরই এই নিয়ে কোন উদ্বেগ নেই। বুথ ফেরত সমীক্ষার রিপোর্ট দেখে মোদী ছটফট শুরু করেছেন কখন প্রধানমন্ত্রীর গদিতে বসবেন। দলের অন্য নেতাদের রাতের ঘুম ছুটে গেছে দৌড় ঝাঁপ করতে করতে। কে ক্ষমতার কেন্দ্রের কত কাছাকাছি থাকতে পারবে বা কে কোন দপ্তরের মন্ত্রিত্ব হাতাবে তারই প্রতিযোগিতা।
Labels:
GENERAL ELECTION-2014
এদিন, নয়াদিল্লিতে প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরীও গণনাকেন্দ্রে কারচুপির আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন। তিনি এদিন সাংবাদিকদের বলেন, তৃণমূল গণনায় সরকারী মদতে কারচুপি করবে বলে আমরা খবর পাচ্ছি। গণনাকার্য যাতে সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন হয় তারজন্য নির্বাচন কমিশনকে সব রকম ব্যবস্থা নিতে হবে।
Labels:
GENERAL ELECTION-2014
ভোট গণনায় কারচুপির আশঙ্কা সম্পর্কে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের উত্তরে বুধবার বামফ্রন্ট চেয়ারম্যান এবং সি পি আই (এম) পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য কমিটির সম্পাদক বিমান বসু বলেন, ভোটদাতাদের স্বাধীন মতপ্রকাশে সবরকমভাবে বাধা সৃষ্টি করা হয়েছে এই নির্বাচনে। নির্বিচারে আক্রমণ চলেছে, গুলি চলেছে, ব্যাপক সন্ত্রাস করে ভোট লুট হয়েছে। এখন শুনতে পাচ্ছি, প্রশাসনকে ব্যবহার করে তৃণমূল গণনায় ব্যাপক কারচুপির পরিকল্পনা নিয়েছে। নির্বাচন কমিশন এবং পশ্চিমবঙ্গের দায়িত্বপ্রাপ্ত বিশেষ পর্যবেক্ষক, সকলকেই দেখতে হবে যাতে গণনার কাজ সঠিকভাবে হতে পারে। গণনাকেন্দ্রে যথেষ্ট নিরাপত্তার ব্যবস্থা নির্বাচন কমিশনকেই করতে হবে। না করলে সমস্ত ঘটনার জন্য নির্বাচন কমিশন দায়ী থাকবে। নির্বাচন কমিশন সদা সতর্ক না থাকলে নির্বাচনের সময় গণতন্ত্রকে বিদ্রূপ করে যেমন রক্তাক্ত করা হয়েছে, গণনার সময়ও সেই প্রহসন আরেকবার ফুটে উঠবে।
Labels:
GENERAL ELECTION-2014
গণনা চলাকালীন হঠাৎ করে লোডশেডিং বা পাওয়ার-কাট করা হতে পারে। গণনাকেন্দ্রগুলিতে আপৎকালীন অবস্থার জন্য জেনারেটর মজুত থাকার কথা থাকলেও তা চালু করানোর কাজে বিঘ্ন ঘটানোর চেষ্টা হবে। ইতোমধ্যে তথ্য-প্রমাণ লোপাট করার চেষ্টা করা হতে পারে। তৃতীয়ত, গণনাকেন্দ্রগুলিতে ভিডিওগ্রাফির ব্যবস্থা থাকার কথা। কিন্তু সেগুলিকে ইচ্ছাকৃতভাবে অকেজো করে রাখা হতে পারে। অভিযোগ করা হলে, যান্ত্রিক গোলযোগের অজুহাত দেওয়া হবে। এই ধরনের নানারকমের পরিকল্পনা সাজানো হয়েছে, বিভিন্ন এলাকার পরিস্থিতির সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে। যদিও প্রশাসনের একাংশের মধ্যে এই ষড়যন্ত্রের আভাস পাওয়ায় বিক্ষোভ ধূমায়িত হচ্ছে বলেও জানা গেছে।
Labels:
GENERAL ELECTION-2014
গণনাকেন্দ্রগুলিতে বিভিন্ন কাজে নিযুক্ত প্রশাসনের নিচুতলার কর্মীদের কিছু অংশে এই ষড়যন্ত্রের কিছুটা নামার ফলে তাঁদের মধ্যে প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়েছে। তাঁদের কাছ থেকেই জানা গেছে, বিভিন্নভাবে গণনাকেন্দ্র কবজা করবে তৃণমূল। প্রথমত, গণনাকেন্দ্রে যাতে বামফ্রন্টের কোনো কাউন্টিং এজেন্ট আদৌ পৌঁছাতেই না পারে তারজন্য গোড়া থেকেই চেষ্টা হবে। তারজন্য হুমকি, ভয়-ভীতি দেখানো, এমনকি অপহরণেরও পরিকল্পনা রয়েছে তৃণমূলের।
Labels:
GENERAL ELECTION-2014
হয়। গত পঞ্চায়েত নির্বাচনের অভিজ্ঞতা তো রয়েছেই। তাতেও প্রশাসনকে কাজে লাগিয়ে গণনাকেন্দ্রে ভয়াবহ কারচুপি করেছিল তৃণমূল। জানা গেছে, মঙ্গলবারও তৃণমূল ভবনে একটু দেরি করে আসেন তৃণমূলনেত্রী। সেখানে এক দফা আলোচনার পর কালীঘাটে তাঁর বাড়িতে আরেক দফা আলোচনা হয়। গভীর রাত পর্যন্ত পরিকল্পনার পর রাজ্যের পদস্থ আমলাদের কয়েকজনকে টেলিফোনও করা হয়। রাজ্য প্রশাসন ও পুলিসবাহিনীর মদতে কীভাবে গণনাকেন্দ্রগুলি সম্পূর্ণ নিজেদের কবজায় আনা হবে, তার নীল নকশা সেখানেই চূড়ান্ত হয়ে যায়।
বিশেষ সূত্রে জানা গেছে, মুখ্যমন্ত্রী নিজে গত সোমবার শেষ পর্বে ভোট দেওয়ার পর বহুদিন বাদে ই এম বাইপাসে অবস্থিত তৃণমূল ভবনে যান। তৃণমূল মহলের খবর, সম্ভবত জ্যোতিষীর নিষেধ থাকায় তৃণমূলনেত্রী ২০১১ সালের বেশ কিছুদিন আগে থাকতেই তৃণমূল ভবনে পা রাখা বন্ধ করে দিয়েছিলেন। সোমবার তৃণমূল ভবনে তখন হাজির ছিলেন মুকুল রায়, সুব্রত মুখার্জি, সুলতান আমেদ, ডেরেক ওব্রায়ান, কৃষ্ণেন্দুনারায়ণ চৌধুরীসহ দলের অন্যান্য নেতারা। মমতা ব্যানার্জি দলের নেতাদের কাছে সম্ভাব্য ফলাফল কী হবে জানতে চাইলে ২০-২২টির বেশি আসন তৃণমূল পাবে, এমন কথা কোনো নেতাই বলতে চাননি। এরপরেই উত্তেজিত হয়ে পড়েন মমতা ব্যানার্জি। বলতে থাকেন, আমি বলেছি, ৩০-৩৫টা আসন পাবো। তারজন্য যা করতে হয়, করতে হবে। প্রশাসন সব করে দেবে।
Labels:
GENERAL ELECTION-2014
নির্বাচনের প্রতিটি পর্বে কীভাবে প্রশাসন ও পুলিসকে ব্যবহার করে বামফ্রন্টের নেতা-কর্মীদের মিথ্যা মামলায় জড়ানো যায়, দুষ্কৃতীবাহিনীর আক্রমণ-হুমকি-সন্ত্রাসের মাধ্যমে এলাকাছাড়া করা যায় সেদিকেই তৃণমূল নেতৃত্ব মনোযোগ দিয়েছিল। অন্যদিকে, নির্বাচন কমিশনের রাজ্যদপ্তর ও তথাকথিত বিশেষ পর্যবেক্ষককে কিভাবে বগলদাবা করে ফেলা যায়, সেই চেষ্টাতেও ব্যস্ত ছিল তৃণমূল। কার্যত সেকাজে সফলও হয়েছে তারা। ব্যাপক হারে রিগিং, বুথ দখল, ছাপ্পা ভোট হওয়া সত্ত্বেও নির্লিপ্ত ও উদাসীন ভূমিকা গ্রহণ করেছেন রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক এবং বিশেষ পর্যবেক্ষক।
Labels:
GENERAL ELECTION-2014
এবারের নির্বাচন শুরুর অনেক আগে থেকেই তৃণমূল সুপ্রিমো ও মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জিসহ তৃণমূলের তাবড় তাবড় নেতারা বলতে শুরু করেছিলেন, ‘রাজ্যের ৪২টি আসনেই এবার তৃণমূল জয়ী হবে, বামেরা পাবে একটি বিরাট গোল্লা।’ নির্বাচনী প্রচার পর্বে সেটা কমতে শুরু করলেও সেটা ৩০-৩৫-এর নিচে কখনো নামেনি। মুখ্যমন্ত্রী ত্রিপুরাতে প্রচারে গিয়েই প্রথম বলেন, তৃণমূল পশ্চিমবাংলায় ৩০-৩৫টি আসন পাবে। অবশ্য পরের দিকে হাল বুঝতে পারলেও সংখ্যাতত্ত্বের দিকে আর যাননি।
Labels:
GENERAL ELECTION-2014
নির্বাচনে ব্যাপক রিগিং ও ভোট লুট করার পরে রাজ্যের শাসকদল ভোট গণনাতেও ব্যাপক কারচুপির পরিকল্পনা করেছে। এই লক্ষ্যে তৃণমূলের তরফে প্রশাসন ও পুলিসকে ব্যবহার করার জন্য একেবারে ওপর থেকে নিচুতলা পর্যন্ত ঢালাও তৎপরতা চলছে। বুধবার রাজ্য প্রশাসনের একটি সূত্রে এই গভীর ষড়যন্ত্রের ইঙ্গিত পাওয়া গেছে।
Labels:
GENERAL ELECTION-2014
Subscribe to:
Posts (Atom)